রমাযান মাসের গুরুত্ব ও ফযিলত
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ
তা'য়ালার জন্য- যিনি রব্বুল আ'লামীন। দুরদ ও
সালাম রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যিনি রহমাতুল্লিল আ'লামীন, তাঁর পরিবারবর্গ
ও বংশধর, সাহাবায়ে কিরাম (রাদিআল্লাহু আনহুম) ও সালিহীন (র) বান্দাগণের
প্রতি। আমরা
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর
বান্দা ও তার রসুল। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি কেবলমাত্র মুত্তাকীনদের জন্যই নির্ধারিত।
পবিত্র মাহে
রমাযান আমাদের দুয়ারে সমাগত। সমস্ত মাসের মধ্যে সেরা ও সর্বাধিক বরকতপূর্ণ মাস হল
রমাযান মাস, কারণ এ মাসে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং কুরআনের সম্মানার্থে এবং
ক্বলবের মাঝে কুরআনের নুর প্রবেশের উপযোগী তাকওয়াপূর্ণ ক্বলব তৈরীর লক্ষ্যে এ মাসে
সিয়াম পালনের জন্য আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাগণকে নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীসে এই
রমাযান মাসের মর্যাদা এবং এতে ইবাদত-বন্দেগী করার ব্যাপারে অনেক আলোচনা এসেছে।
নিম্নে এ প্রসঙ্গে কুরআন ও হাদীসের আলোকে অতি গুরুত্ব পূর্ণ একটি আলোচনা উপস্থাপন
করা হল।
সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্যঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সিয়াম অন্যতম
বিধান। সিয়াম সাধনার বিধান রাখা হয়েছে আল্লাহভীতি সৃষ্টি তথা তাকওয়া অর্জনের
লক্ষ্যে। কুরআন কারীমে দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে, সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্য হল
তাকওয়া অর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
-‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ - {সূরা বাকারাহ,
আয়াত : ১৮৩}
সাওম ইসলামের
তৃতীয় স্তম্ভ। আরবী এ ‘সাওম’ শব্দটি আমাদের দেশে রোযা নামে সমধিক পরিচিত, যা মূলত ফারসী শব্দ। সাওম অর্থ বিরত থাকা। যেহেতু পানাহার ও কামাচার সাধারণত প্রবৃত্তির লিপ্সা ও
লালসাকে উদ্দীপ্ত করে, সেহেতু আল্লাহ তা'আলা প্রবৃত্তিকে দমন করে তাকওয়ার গুনাবলী
বিকাশের জন্য সাওমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ
আরোপ করেছেন।
সিয়াম মাত্র
কয়েক দিনের জন্যঃ জীবন
ধারণের স্বার্থেই পানাহার সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা সম্ভব নয়। তাই চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে মাত্র কয়েক ঘন্টা সাওম পালনের জন্য নির্ধারণ করা
হয়েছে। আবার শিশুদেরকে এর আওতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অক্ষম-বৃদ্ধদের জন্য ‘ফিদইয়া’র অবকাশ রাখা হয়েছে। মুসাফির, অসুস্থ ও সন্তান প্রসব, স্তন্যদান ও ঋতুকালে নারীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে উযর দূর হওয়ার পর ‘কাযা’র মত বিকল্প রাখা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
-‘নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে
নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদইয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান। -{সূরা আল-বাকারাহ,
আয়াত : ১৮৪}
সিয়াম পালন করতে
হবে কুরআন নাজিলের মাসেঃ রমাযান হল কুরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ তা'আলা সমগ্র মর্যাদা ও সম্মান কুরআনের সাথে
সংযুক্ত করেছেন। সমস্ত মাসের মধ্যে সেরা ও সর্বাধিক বরকতপূর্ণ মাস হল রমাযান মাস,
কারণ এ মাসে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং কুরআনের সম্মানার্থে এবং ক্বলবের মাঝে
কুরআনের নুর প্রবেশের উপযোগী তাকওয়াপূর্ণ ক্বলব তৈরীর লক্ষ্যে সিয়াম পালনের জন্য
আল্লাহ তা'আলা রমাযান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
-‘রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের
সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে
সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।’ -{সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৮৫}
মাহে রমযানের যে
রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, সেই রাত্র ‘লাইলাতুল (শবে) ক্বদর’ নামে অভিহিত। আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে এ প্রসঙ্গে একটি পূর্ণাংগ
সূরা নাযিল করেছেন। তিনি এই মহান ‘লাইলাতুল (শবে) ক্বদর’-কে হাজার মাস থেকেও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন
বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
- ‘নিশ্চয়ই আমি এটি নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল ক্বদরে। আর আপনি কি জানেন ‘লাইলাতুল কদর’
কী? ‘লাইলাতুল ক্বদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে
সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।’ -{সূরা আল-ক্বদর, আয়াত : ০১-০৫}
রমাযান মাস হলো
ইবাদতের মওসুম। এ মাসে ইবাদতের গুরুত্ব অনেক বেশি। কুরআন ও হাদীসে এই রমাযান মাসের মর্যাদা
এবং এতে ইবাদত-বন্দেগী করার ব্যাপারে অনেক আলোচনা এসেছে। নিম্নে এ প্রসঙ্গে কুরআন
ও হাদীসে আলোকে অতি গুরুত্ব পূর্ণ একটি আলোচনা উপস্থাপনা করা হল। আশা করা যায় এ
আলোচনা সবার জন্যই বরকত ও কল্যাণময় হবে। যেমন :
এক রমাযান থেকে
আরেক রমাযানের মধ্যবর্তী গুনাহসমূহ মুছে দেয়ঃ হযরত আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ওয়াক্তের সালাত, এক জুমুআ থেকে আরেক জুমুআ এবং এক রমাযান থেকে আরেক রমাযানের মধ্যবর্তী সব
গুনাহ্ কে মুছে দেয়, যদি সে কবীরা গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকে।” -[সহীহ মুসলিমঃ ৪৫৯]
রমাযান মাসে
জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়এবং
শয়তানদেরকে শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়ঃ হযরত আবু হুরাইয়রা রদিআল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন রমাযান
আগমণ করে তখন জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়।” -[সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত আবু হুরাইয়রা রদিআল্লাহু তায়ালা আনহু
থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন পবিত্র রমযান মাস এসে যায় তখন আসমান তথা
জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ
করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়।” -[সহীহ বুখারী:
১৮৯৯, সহীহ মুসলিম: ১০৭৯]
‘রাইয়্যান’
দরজা দিয়ে রোযাদারগণ জান্নাতে প্রবেশ করবেঃ হযরত সাহল বিন সা’দ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জান্নাতের একটি দরজা
রয়েছে যার নাম ‘রাইয়্যান’। কেয়ামতের দিন ঐ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া তাদের
সাথে আর কেউই ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। বলা হবে: ‘কোথায় রোযাদারগণ?’ তখন
তারা ঐ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।- [সহীহ বুখারী: ১৮৯৬,
সহীহ মুসলিম: ১১৫২, তিরমিযী]
রমাযান মুমিনের
জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণঃ হযরত আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তাআলার কসম!
মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান
মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য)
ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও
দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। -(মুসনাদে
আহমদঃ হাদীস ৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাঃ হাদীস-৮৯৬৮, সহীহ ইবনে
খুযাইমাঃ হাদীস-১৮৮৪, তাবারানীঃ হাদীস-৯০০৪, বাইহাকীঃ শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৩৩৫)
রমযান মাসের
প্রত্যেক দিবস ও রাত্রিতে অসংখ্য ব্যক্তির জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
অথবা আবু সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমযান মাসের প্রত্যেক দিবস ও রাত্রিতে
অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার
একটি করে দুআ কবুল করেন। -(মুসনাদে আহমদঃ হাদীস ৭৪৫০,
মুসনাদে বাযযারঃ হাদীস-৯৬২)
রমাযানে গোনাহ
মাফের ব্যর্থতার পরিনামঃ হযরত আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা
মিম্বরে আরোহণ করলেন। অতপর বললেন, আমীন, আমীন আমীন। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল,
এটা আপনি কী করলেন? তিনি বললেন, জিবরীল আমাকে বললেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিধুসরিত হোক
যার সামনে রমযান প্রবেশ করলো অথচ তাকে ক্ষমা করা হলো না। আমি শুনে বললাম, আমীন (আল্লাহ কবূল করুন) এরপর তিনি বললেন, ওই
ব্যক্তির নাক ধূলিধুসরিত হোক যার সামনে আপনার কথা আলোচিত হয় তথাপি সে আপনার ওপর
দরূদ পড়ে না। তখন আমি বললাম, আমীন (আল্লাহ কবূল করুন) অতপর তিনি
বললেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিধুসরিত হোক যে তার পিতামাতা বা
তাঁদের একজনকে পেল অথচ সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলো না। তখন আমি বললাম, আমীন (আল্লাহ কবূল করুন)। -[বুখারী, আল-আদাবুল
মুফরাদ : ৬৪৬; শায়খ আলবানী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। (সহীহ
ইবন খুযাইমাহ : ১৮৮৮; বাইহাকী : ৮২৮৭)
তিন ব্যাক্তির
দুআ ব্যর্থ হয় নাঃ হযরত
আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তিন ব্যাক্তির দুআ
ফিরিয়ে দেওয়া হয় না – ১. রোযাদারের দুআ ইফতার করা পর্যন্ত, ২. ন্যায়পরায়ণ
বাদশাহের দুআ, ৩. মাজলুমের দুআ। আল্লাহ্ তায়ালা তাদের দুআ
মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ্
তায়ালা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই
তোমাকে সাহায্য করব।" -[ মুসনাদে আহমাদ- ৯৭৪৩; জামে তিরমিযী- ৩৫৯৮;
ইবনে হিব্বান- ৩৪২৮; ইবনে
মাজাহ- ১৭৫২ ]
সিয়াম ঢাল
স্বরূপঃ হযরত আবূ
হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সিয়াম ঢাল স্বরূপ । সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং
মুর্খের মত কাজ করবে না । যদি কেউ তাঁর সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে
সে যেন দুই বার বলে, আমি সাওম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ,
যার হাতে আমার প্রানে, অবশ্যই সাওম পালনকারীর
মুখের গন্ধ আল্লাহ্র নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে
আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই
জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব । আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুন।
-(সহীহ বুখারীঃ ১৭৭৩)
সিয়াম পালন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করাঃ হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি সিয়াম পালন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -[সহীহ আল-জামে, হাদিস: ৬২২৪]
রমযান মাসে উমরা
করা হজের সমতুল্যঃ হযরত
উম্মে মা‘কাল
রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘রমযান মাসে উমরা করা একটি হজের সমতুল্য’। -[তিরমিযী : ৮৬১]
সিয়ামের
প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা দিবেনঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন : আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য; শুধু রোযা ছাড়া। কারণ, তা শুধুমাত্র আমারই জন্য। তাই আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযা ঢাল স্বরূপ। রোযা রাখার দিন তোমাদের কেউ যেন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে ঝগড়া করে তাহলে সে যেন বলে আমি
রোযাদার। যাঁর হাতে মুহাম্মদের জীবন তাঁর শপথ! অবশ্যই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও সুগন্ধিময়। রোযাদারের জন্য রয়েছে দু’টি আনন্দের সময় : একটি হলো ইফতারের সময় আর অপরটি তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের সময়।’ -[বুখারী : ১৯০৪; মুসলিম : ২৭৬২]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
: ‘প্রতিটি আদম সন্তানের নেক কাজের ফল দশগুণ
হতে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়ে থাকে। আল্লাহ আয্যা ওয়া জাল্লা বলেন, তবে রোযাকে এর মধ্যে গণ্য করা হবে না। কারণ, রোযা
কেবলমাত্র আমারই জন্য। আর আমিই এর প্রতিদান দেব। আমার জন্য সে আহার ও যৌনচাহিদা পরিহার করে। রোযাদারের আনন্দ দু’টি : একটি আনন্দ তার ইফতারের সময়। আরেকটি আনন্দ আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আনন্দ। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চাইতেও সুগন্ধিময়।’ -[মুসলিম : ১১৫১; তিরমিযী : ৬৫৯;
নাসায়ী : ২১৮৫]
রমাযান মাসে
রোযা রাখলে পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মোচন হয়ে যায়ঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের
আশায় লাইলাতুল ক্বদরে কিয়ামুল লায়ল করবে তার পূর্বে সমস্ত গুনাহ মোচন করে দেয়া
হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমাযান মাসে রোযা রাখবে তার
পূর্বের সমস্ত গুনাহ মোচন করে দেয়া হবে।”[বুখারী ও মুসলিম]
রমাযান মাসে রোযা রাখা জান্নাতে যাওয়ার একটি বিরাট মাধ্যমঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বলল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন যা করলে আমি জান্নাতে যেতে পারব। তিনি বললেন : আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার সাথে অন্য কাউকে শরীক করবে না। ফরজ নামায আদায় করবে, ফরয যাকাত দিবে, রমাযানে রোযা রাখবে।” লোকটি বলল: ঐ সত্বার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার প্রাণ এর চেয়ে বেশি আমি কিছুই করব না। অত:পর লোকটি চলে গেলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : কেউ জান্নাতী লোক দেখতে চাইলে যে যেন এ লোকটিকে দেখে।”[ সহীহ বুখারীঃ যাকাত অধ্যায়, সহীহ মুসলিমঃ ঈমান অধ্যায়]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত মুআয বিন জাবাল রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাথে ছিলাম। পথে চলতে চলতে আমি তাঁর নিকটে এসে পৌঁছলাম। এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম: হে আল্লাহর নবী, আমাকে এমন আমলের কথা বলুন যার মাধ্যমে আমি জান্নাতে যেতে পারব এবং জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে পারব। তিনি বললেন : “তুমি অনেক বড় জিনিসের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছ। তবে আল্লাহ তাআলা যার জন্যে সহজ করে দেন তার জন্য তা সহজ। আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না, নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, রমাযান মাসে রোযা রাখবে এবং কাবা ঘরের হজ্জ আদায় করবে… । -[মুসনাদ আহমাদঃ ৫/২৩১, সুনান তিরমিযীঃ ঈমান অধ্যায়: হাসান সহীহ, সুনান ইব্ন মাজাহঃ ফিত্না-ফাসাদ অধ্যায়]
কিয়ামুললাইল বা
তারাবীহ-এর
ফজিলতঃ হযরত আবূ
হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি : “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও
সোওয়াবের আশায় রমাযানে কিয়ামুল লাইল বা তারাবীহর নামায আদায় করে তার পূর্বের
সমস্ত (ছোট) গুনাহ মোচন হয়ে যাবে।” -(বুখারী ও মুসলিম)
সাহরীর ফজিলতঃ হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহ ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : তোমরা সাহরী খাও, কেননা
সাহরীতে বরকত রয়েছে। -[সহীহ বুখারী : ১৯২৩; সহীহ মুসলিম : ১০৯৫]
আল্লাহর পথে
সওমঃ হযরত আবু সাঈদ
খুদরী রাদিয়াল্লাহ ‘আনহু
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিনও সিয়াম পালন করে, আল্লাহ
তার মুখমন্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের রাস্তা দুরে সরিয়ে নেন। -[সহীহ
বুখারী : ২৮৪০; সহীহ মুসলিম : ১১৫৩]
লাইলাতুল কাদর রমাযানের
শেষ দশকের যে কোন বেজোড় রাতে হবেঃ হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : তোমরা রামাযানের শেষ দশকের বেজোড়
রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান কর।” -[ সহীহ বুখারী, অধ্যায়: লাইলাতুল
কাদরের ফযীলত। সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: রোযা]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : “আমাকে লাইলাতুল ক্বদ্র দেখানো হল। কিন্তু আমার এক স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়ায় আমি তা ভুলে গিয়েছি। অতএব, তোমরা তা রামাযানের শেষ দশকে অনুসন্ধান কর।”[ সহীহ বুখারী, অধ্যায়: লাইলাতুল কাদরের ফযীলত]
শেষ দশকে ই‘তিকাফ : এ মাসের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করার রয়েছে অনেক গুরুত্ব। ই‘তিকাফে
বসলে ইবাদতের মওসুম রমযানকে যথার্থভাবে কাজে লাগানো সহজতর হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন।
হযরত আব্দুল্লাহ
ইবন উমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন।’ -[সহীহ বুখারী : ২০২৫; সহীহ মুসলিম : ১১৭১;
আবূ দাউদ : ২১০৯]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে
বর্ণিত। আল্লাহ তা’আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ওফাত দেয়া
পর্যন্ত রমাযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাতের পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ
করেছেন।”-[সহীহ
বুখারী]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রামাযানে দশ দিন ইতিকাফ করতেন। এক বছর সফরে যাওয়ায় ইতিকাফ করতে পারেন নি। তাই যে বছর তিনি ইন্তিকাল করেন সে বছর বিশ দিন ইতিকাফ করেন। -[মুসনাদ আহমাদ, সুনান আবু দাউদ ও তিরমিযী]
শেষ দশকে বিশেষ
ইবাদাতঃ হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ
দশকে বেশি বেশি ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন, যতটা তিনি অন্য দিনগুলোতে করতেন না।’ -[মুসলিম : ১১৭৫; তিরমিযী : ৭২৬]
অন্য বর্ণনায়ঃ হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, ‘রমযানের
শেষ দশক এলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি শক্ত করে
বাঁধতেন এবং তিনি এর রাতগুলোতে নিজে জাগতেন আর পরিবারকেও জাগাতেন।’ [বুখারী : ২০২৪; মুসলিম : ১১৭৪;
নাসায়ী : ১৬২১]
সিয়াম
কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবেঃ হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিত। নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের
জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে, সিয়াম বলবে হে প্রতিপালক ! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও
যৌনতা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল কর। কোরআন বলবে
হে প্রতিপালক ! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার
সুপারিশ কবুল কর। তিনি বলেন, অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। -[মুসনাদে আহমদ]
সব ধরনের
পাপাচার থেকে বিরত থাকতে হবেঃ সাওমের মূল লক্ষ্য ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল
লাভ করতে হলে শুধুমাত্র বৈধ পানাহার ও বৈধ কামাচার থেকে বিরত থাকলেই যথেষ্ঠ হবে
না, বরং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব ধরনের
পাপাচার ও মন্দাচার থেকেও অন্তর ও দেহ তথা সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অবশ্যই হেফাজত
করতে হবে। এ প্রসংগে হাদীসে এসেছে-
হযরত আবূ
হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি সাওম পালন করতে গিয়ে মিথ্যা কথা ও মিথ্যা কথা
মত কাজ করা এবং মূর্খতা (সুলভ আচরণ) থেকে বিরত থাকলো না,
তার খাদ্য ও পানীয় ত্যাগে আল্লাহর কোনো
প্রয়োজন নেই।’ -[বুখারী : ১৯০৩; আবূ দাউদ : ২৩৬৪]
সর্বোত্তম নফল নামাজ ও নফল রোজাঃ হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম
রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে
রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায। -(মুসলিম শরীফ)
নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযান ছাড়া অন্য কখনো পুরো মাস রোযা রাখতেন
নাঃ হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু
আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নফল রোযা
রাখা শুরু করলে আমরা বলতাম, তিনি হয়ত আর রোযা বাদ দিবে না। আবার রোযা বন্ধ করলে আমরা ধারণা করতাম
হয়ত তিনি আর রোযাই রাখবেন না। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে
রামাযান ছাড়া অন্য কখনো সারা মাস ধরে রোযা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান মাসে তার
চেয়ে বেশি আর কাউকে রোযা রাখতে দেখিনি।”- [ সহীহ বুখারী ও সহীহ
মুসলিম]
একই বছরে রমাযান
এবং যিল হজ্জ মাস একসাথে অপূর্ণ হবে নাঃ হযরত আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “দুটি মাস (একই বছরে) অপূর্ণ হবে না। সেগুলো হল ঈদের দু মাস তথা
রামাযান এবং যুল হিজ্জা।” -[ সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম]
অর্থাৎ এ দুটি
মাস একই বছরে এক সাথে অপূর্ণ হবেনা। একটি ২৯ দিনে হলে অন্যটি অবশ্যই ৩০ দিনে হবে।
আরেকটি মত হল, হাদীসটির অর্থ এ দুটি মাসে আমলের সাওয়াব কম হবে না।–[সহীহ বুখারীর
ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাত্হুল বারী। অধ্যায়: দু মাস এক সাথে কম হবে না। ১৭৭৯ নং
হাদীসের ব্যাখ্যা]
মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে পূর্ণ সাফল্য ও কামিয়াবীসহ মাহে রমাযানে সিয়াম পালন
এবং যাবতীয় কল্যাণময় ইবাদাতের তাওফীক দান করুন! আমাদের সবাইকে তাঁর মাহবুব বান্দাহ এবং তাঁর হাবীবের মাহবুব
উম্মাতগণের অন্তর্ভূক্ত করুন! আ-মী-ন।

No comments:
Post a Comment