আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত হতে হবে রিয়ামুক্ত
ডাঃ গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি,তার পরিবারবর্গ,বংশধর,সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) ও সালেহীণ (রহমাতুল্লাহি
আলাইহিম)-গণের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ছাড়া কোন
ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি
কেবলমাত্র রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খুলাফায়ে রাশিদীনে এবং
সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-গণের অনুসৃত কল্যাণময় আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই নিহিত।
আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত হতে
হবে শুধুমাত্র তাঁরই সন্তোষের লক্ষ্যে নিবেদিত।
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোন নেক
কাজই আল্লাহ তা’য়ালা কবুল করেন না। যত ভাল কাজই হোক না কেন,
তাতে কোন সাওয়াব পাওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা ঐ আমলকে তার সাথেই সম্পর্কযুক্ত করে
দেন, যে উদ্দেশ্যে আমল করা হয়। উপরন্তু সে নেক আমলের পরিনাম হবে জাহান্নাম। এ
ব্যাপারে কয়েকটি উদাহরণ সবার সচেতনতা ও সতর্কতার জন্য পেশ করা হল।
মহান আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন বলেনঃ "তাদেরকে
এ ছাড়া অন্য কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা
খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করবে।" - (সূরা
আল-বাইয়্যেনাহঃ আয়াত ৫)
কান, চোখ ও অন্তঃকরণের ব্যবহার প্রসংগে মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন বলেনঃ "যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, (অযথা) তার পিছনে পড়ো না, কেননা
(কেয়ামতের দিন) কান, চোখ ও অন্তর, এ সব কয়টির (ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।" – (সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত ৩৬)
কুরবানী প্রসংগে
আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ "এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া।
এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে
তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি
তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।"
-(সূরা হাজ্জঃ আয়াত ৩৭)
একনিষ্ঠ ভাবে দ্বীনের উপর
কায়েম থাকা প্রসংগে মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেনঃ "তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে দ্বীন (ইসলাম)-এর উপর
প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর ফিতরাত, যার উপর তিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহর সৃষ্টির রহস্যে কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ও সঠিক জীবন ব্যবস্থা। কিন্তু
অধিকাংশ মানুষ জানে না।"
- (সূরা রূমঃ আয়াত ৩০)
আল্লাহ অন্তঃকরণ ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য করেনঃ হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা ও দেহের প্রতি
দৃষ্টিপাত করেন না;বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য আরোপ করেন।" -(সহীহ মুসলিম)
সকল
আমলের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীলঃ হযরত উমর ইবনে
খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি :"নিশ্চয়ই
সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার
নিয়ত সে করবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের
উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্যই হবে। আর যে দুনিয়া লাভের জন্য কিংবা কোনো নারীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত উক্ত বিষয়ের জন্যই হবে, যার জন্য
সে হিজরত করেছিল।" -[বুখারীঃ
হাদীস নং ১
ও মুসলিমঃ হাদীস নং ১৯০৭]
পরস্পর
সংঘর্ষে লিপ্ত হলে হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হবেঃ হযরত
আবু বাকরা নুফাই ইবনুল
হারিস আস-সাকাফী রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "দু’জন মুসলিম তাদের নিজ নিজ তরবারী নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হলে হত্যাকারী ও
নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হবে। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! এ তো
হত্যাকারী, নিহত ব্যক্তির কি হল? তিনি বললেনঃ সেও তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করার
আকাংখী ছিল।"
-(বুখারী ও মুসলিম)
আমল
কিভাবে ইবাদাত হিসাবে গণ্য হয়ঃ হযরত আবূ মূসা আশআরী
রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল: "কোন
ব্যক্তি বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য লড়াই করে, কেউ আত্ম-সম্মান ও বংশগত মর্যাদা জন্য
লড়াই করে আবার কোন লোক প্রদর্শনেচ্ছায় লড়াই করে- এদের মধ্যে কে আল্লাহর পথে (লড়াই
করে)?" রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "যে
ব্যক্তি শুধু আল্লাহর কালিমা সমুন্নত করার জন্য লড়াই করে সেই আল্লাহর পথে (লড়াই
করে)।" -(বুখারী ও
মুসলিম)
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দান-সদাকাহ এর পরিনামঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন : "আর কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত সে ব্যক্তির মত বরবাদ করো না যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব,এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো,অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।" - (সূরা বাক্বারাহঃ আয়াত ২৬৪)
উদাসীন
মন ও লোক দেখানো সালাত জাহান্নামের অধিবাসী হওয়ার কারণ হবেঃ এ প্রসংগে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : "অতঃপর ধ্বংস সেই সব সালাত আদায়কারীর জন্য-যারা
তাদের সালাতের ক্ষেত্রে উদাসীন এবং যারা লোক দেখানোর জন্য সালাত আদায় করে।"- (সূরা মাঊনঃ আয়াত ৪-৬)
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আমলের পরিনামঃ হযরত যুনদুব রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি মানুষকে শোনানোর জন্য এবং মানুষের নিকট
প্রসিদ্ধি লাভ করার জন্য কোন আমল করে আল্লাহ তাআলা তার অবস্থা মানুষকে শুনিয়ে
(প্রকাশ করে) দিবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করে আল্লাহ তা
মানুষকে দেখিয়ে (প্রকাশ করে) দিবেন। ফলে সে
আল্লাহর কাছে পরকালে এর কোনো বিনিময় বা সাওয়াব পাবে না।" -(বুখারীঃ ৬৪৯৯ ও মুসলিমঃ ২৯৮৬)
লোক
দেখানো উদ্দেশ্যে নামাজ
আদায় হল গোপন শিরকঃ হযরত মাহমুদ ইবনে লাবীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (এক দিন)
বাহিরে তাশরিফ আনলেন এবং ইরশাদ করলেন:
"গোপন শিরক থেকে তোমরা বেঁচে থাক! সাহাবগণ আরজ করলেন হে
আল্লাহর রাসূল! গোপন শিরক কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন,গোপন শিরক হলো,এক ব্যক্তি যখন নামাযের উদ্দেশ্যে দাঁড়ায় তখন সে তার নামাযকে খুবই গুরুত্ব
সহকারে পড়তে থাকে শুধু এই উদ্দেশ্যে যে,কেউ তাকে নামায পড়তে
দেখতেছে। সুতরাং এটাই হলো গোপন শিরক।" -(তারগীবঃ ১/৩৪,ইবনে মাজাহঃ ২/৩১০ ও মিশকাতঃ
৪৫৬)
পার্থিব
স্বার্থে দ্বীনি জ্ঞান অর্জণের ভয়াবহ পরিনামঃ হযরত
আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি এমন কোন জ্ঞান
অর্জন করল, যার দ্বারা আল্লাহ আয্যা অজাল্লার সন্তুষ্টি
লাভ করা যায়,তা সে কেবল পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে
অর্জন করল,কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধ পর্যন্ত
পাবে না।" -(আবূ দাউদঃ বিশুদ্ধ সানাদ)
রিয়া ইবাদাতের মাঝে নিফাকের জন্ম দেয়ঃ মহান রাব্বুল আলামীন বলেন: "মুনাফিকদের
অর্থ সাহায্য গ্রহণ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে
(মনে মনে) অস্বীকার করে, অবহেলার সাথে সালাতে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে
অর্থ সাহায্য করে।" - (সূরা তওবাঃ আয়াত ৫৪)
রিয়া
ইবাদাতের মাঝে অহংকারের জন্ম দেয়, যার পরিণাম মারাত্মক ভয়াবহঃ হযরত আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : "যার অন্তরে সরিষার দানার পরিমানও অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর
যার অন্তরে সরিষার দানার পরিমানও ঈমান আছে সে দোযখে প্রবেশ করবে না।"
-(মুসলিম)
লোক দেখানো নেক আমলের পরিণতি হল জাহান্নামঃ হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে ব্যক্তির বিচার করা হবে, সে হবে একজন শহীদ। তাকে আল্লাহর নিকট উপস্থিত করা হবে। অতঃপর আল্লাহ পাক তাকে নেয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। আর সেও তা স্মরণ করবে। এরপর আল্লাহ তাআলা তাকে জিজ্ঞেস করবেন, দুনিয়াতে তুমি কি আমল করেছ? উত্তরে সে বলবে, আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য লড়াই করেছি। এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ, বরং তোমাকে যেন বীর-বাহাদুর বলা হয়, সেজন্য তুমি লড়াই করেছ। আর তোমাকে দুনিয়াতে তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে উপুড় করে টেনে-হিঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর সে ব্যক্তিকে বিচারের জন্য উপস্থিত করা হবে, যে নিজে দ্বীনী ইলম শিক্ষা করেছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে। আর পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করেছে (এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে)। তাকে আল্লাহ পাকের দরবারে হাযির করা হবে। অতঃপর তিনি তাকে নেয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং সেও তা স্মরণ করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে জিজ্ঞেস করবেন, এই সমস্ত নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপনের জন্য তুমি কি আমল করেছ? উত্তরে সে বলবে, আমি স্বয়ং দ্বীনী ইলম শিক্ষা করেছি এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছি এবং তোমার সন্তুষ্টির নিমিত্তে কুরআন তেলাওয়াত করেছি। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। আমার সন্তুষ্টির জন্য নয়, বরং তুমি এজন্য ইলম শিক্ষা করেছ, যেন তোমাকে বিদ্বান বলা হয় এবং এজন্য কুরআন অধ্যয়ন করেছ, যাতে তোমাকে ক্বারী বলা হয়। আর (তোমার অভিপ্রায় অনুযায়ী) তোমাকে বিদ্বান ও ক্বারীও বলা হয়েছে। অতঃপর (ফেরেশতাদেরকে) তার সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হবে। সুতরাং তাকে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর এমন এক ব্যক্তিকে বিচারের জন্য আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে, যাকে আল্লাহ্ তাআলা বিপুল ধন-সম্পদ দান করে বিত্তবান করেছিলেন। তাকে আল্লাহ তাআলা প্রথমে প্রদত্ত নেয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। আর সে তখন সমস্ত নেয়ামতের কথা অকপটে স্বীকার করবে। অতঃপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করবেন, এই সমস্ত নেয়ামতের শুকরিয়ায় তুমি কি আমল করেছ? উত্তরে সে বলবে, যে সমস্ত ক্ষেত্রে ধন-সম্পদ ব্যয় করলে তুমি সন্তুষ্ট হবে, তোমার সন্তুষ্টির জন্য সেসব খাতের একটি পথেও ব্যয় করতে ছাড়িনি। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। আমার সন্তুষ্টির জন্য নয়; বরং তুমি এই উদ্দেশ্যে দান করেছিলে, যাতে তোমাকে বলা হয় যে, সে একজন দানবীর। সুতরাং তোমাকে দানবীর বলা হয়েছে। অতঃপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হবে। নির্দেশ মোতাবেক তাকে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।"- (মুসলিমঃ হাদীস নং ১৯০৫)
আল্লাহ
তা’য়ালা
মানব জাতিকে এ মহাসত্য অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন! আমাদের
সবাইকে কেবলমাত্র তাঁর সন্তোষের লক্ষ্যে ইখলাসের সাথে রিয়ামুক্ত বিশুদ্ধ ইবাদাত
করার তৌফিক দান করুন! তাঁর সুমহান দ্বীনের খেদমতের জন্য কবুল করুন! রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবাগণের আদর্শের উপর সর্বদা কায়েম রাখুন!
তাঁদের বরকতময় মহান জামাআতের সংগে আমাদের হাশর করুন! আ-মী-ন।
No comments:
Post a Comment