Wednesday, March 5, 2014

সংস্কৃতিক আগ্রাসনের নিকৃষ্টতম নজীর হলো পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি


সংস্কৃতিক আগ্রাসনের নিকৃষ্টতম নজীর হলো পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি

বাঙ্গালী মুসলমানদের উপর সংস্কৃতিক আগ্রাসনের নিকৃষ্টতম নজীর হলো পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি বর্ষবরণের নামে পালিত পহেলা বৈশাখের সকল আয়োজনের উৎপত্তি হলো মন্দির পুজোর অবিকল অনুকরণ হয় তথাকথিত বাঙ্গলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমি বাঙ্গলা ভাষাভাষী হওয়ায় যেমন বাঙ্গালীইসলামের অনুসারী হিসেবে মুসলিমও বাঙ্গালিত্ব টেকানোর সাথে কোন বিজাতীয় কালচার অনুকরণের কোন সম্পর্ক না থাকলেও মুসলমানিত্ব রক্ষার জন্য ভিন্নধর্মের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অনুকরণ না করা অপরিহার্য নিন্মে বাঙ্গলা বর্ষবরণের নামে পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি বর্জনের ৮টি কারণ উল্লেখ করা হলো

প্রথম কারণ হলো তথাকথিত বাঙ্গালী চেতনার নামে প্রচারিত পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতির আগাগোড়া হিন্দু ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের নকল বা অনুকরণ যেমন আশ্বিনে রান্না করে কার্তিকে খাওয়ার আদলে চৈত্রের শেষ দিনের রান্না পহেলা বৈশাখে পান্তা করে খাওয়াবিভিন্ন হিংস্র জীব-জন্তুর পুজার আদলে সেগুলোর কার্টুন ও মুর্তি নির্মান করে রেলি বের করা ও আমোদ-ফুর্তি করাসিঁদুরের আদলে লালটিপ ধারণ করাহিন্দু রমনীদের পুজার আদলে সাদা সাড়ি পরে বের হওয়াপুজার অন্যতম আইটেম ঢোল-তবলা বাজানো ইত্যাদি অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ধর্মের মানুষের (ধর্মীয় আচারের) অনুকরণ বা স্বাদৃশ্য গ্রহণ করবেসে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে

দ্বিতীয় কারণ হলো উল্কি অঙ্কন নাসাঈর বর্ণনা মতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- উল্কি অঙ্কনকারিনী ও যার গায়ে অঙ্কন করা হয়- উভয়ের প্রতি আল্লাহর লা'নত বর্ষণ হয় তাছাড়া এতে আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা হয়যা কুরআনের নির্দেশনা মতে হারাম চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতেও উল্কি অঙ্কন ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর আর ইচ্ছাকৃত স্বাস্থহানী করাও ইসলামে নিষিদ্ধ

তৃতীয় কারণ হলো গান-বাদ্য গান ও ঢোল তবলা ছাড়া পহেলা বৈশাখ হয় না আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- গান মানুষের অন্তরে মোনাফেকি সৃষ্টি করে তিনি আরো বলেছেন-আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার জন্য তাছাড়া পুজোর অন্যতন উপাদান হলো গান ও ঢোল তবলা বাজানো

চতুর্থ কারণ হলো নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা চর্চা শালীন মেয়েরাও পহেলা বৈশাখের নামে অর্ধনগ্ন হয়ে বের হয় গরমের দিনে তথাকথিত পহেলা বৈশাখের সাদা শাড়ি ঘামে ভিজে শরিরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত নোংরাভাবে প্রকাশিত হয় তাছাড়াও নারী পুরুষ ঢলাঢলির মাধ্যমে ব্যভিচারের সবচে বড় ক্ষেত্র তৈরি হয় পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিতে পান্তা-ঈলিশের সাথে ঈদানিং যোগ হয়েছেযুবতী মেয়েদের হাতে খেয়ে মনের নোংরা চাহিদা মেটানো উল্কি অঙ্কনের ক্ষেত্রেও বিপরীত লিঙ্গের হাত ব্যবহার করা হয়যা প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতা

পঞ্চম কারণ হলো পহেলা বৈশাখকে ঈদের মতো মর্যাদা দিয়ে জাতীয়ভাবে নতুন পোষাক ও আকর্ষণীয় খাবার গ্রহণের কালচার সৃষ্টি করা মুসলমানের জাতীয় জীবনে দু'টি উৎসব দেওয়া হয়েছে ইসলামে হিন্দুদের বারো মাসে ১৩ পুজার আদলে কোন মুসলমানের জন্য পহেলা বৈশাখকে আরেকটি বাৎসরিক উৎসবের দিন ধার্য করা জায়েজ নেই বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের অতি তোড়জোড় দেখে মনে হয়তারা এটাকে এদেশের মানুষের প্রধাণ উৎসব হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আজকাল প্রকাশ্যে ঘোষণাও করছে

ষষ্ট কারণ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের অন্যতম উপাদান বাংলাদেশে বাঙলা নববর্ষ পালন করা নিয়ে মঙ্গল শোভযাত্রা মুষ্টিমেয় কিছু নাস্তিকবামপন্থীধর্মনিরপেক্ষবাদীবস্তুবাদী মালাউন শ্রেনীর কিছু লোকের আবিস্কার মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বলা হচ্ছে হাজার বছরের সংস্কৃতি এখন ঢাকার চারুকলায় যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়এটার বয়েস মাত্র ২৪ বছর ১৯৮৯ সাল থেকে এর শুরু  চারুকলায় নববর্ষ পালনের নামে রাস্তাঘাটে নারী পুরুষের নর্তন-কুর্দন আর চুমাচুমিকে বলা হচ্ছে আমাদের কালচার! আর মঙ্গল শোভাযাত্রা সরাসরি হিন্দুদের ধর্মীয় কাজের অন্যতম কোন মুসলমানের জন্য অন্যকোন ধর্মের ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ বা তার অনুকরণ জায়েজ নেই

সপ্তম কারণ হলো  জীবন থেকে একটি বছর খসে পড়ার মহামুল্যবান ক্ষণে আত্মজিজ্ঞাসা না করে ফুর্তি করে প্রকারান্তরে পরকালকে ভুলে বসা আল্লাহকে না ডেকে মুশরিকদের মতো হাস্যকরভাবে বৈশাখকে ডাকতে থাকা যার ফলে প্রতিবছরই বৈশাখ আগমন করে কাল বৈশাখের ঝড় নিয়ে 

অষ্টম কারণ হলো বাংলাভাষী হিন্দুদের জন্য বৈশাখের প্রথম দিনটি একটি মৌলিক ধর্মীয় উৎসবের দিন বাংলা অফিসিয়াল ক্যালেন্ডারের সাথে পঞ্চিকার হিসাব কিতাবের গন্ডগোলে বাংলাদেশে এটা এখন চলে গেছে ২ বৈশাখে পুরোনো ঢাকায় ও পশ্চিম বাংলায় পঞ্চিকা দেখে এভাবেই পালন করা হয় এর আগের দিন তারা পালন করে চৈত্র সংক্রান্তি পহেলা বৈশাখ” হলো ঘট পূজার দিন অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ধর্মের ধর্মীয় আচারের অনুকরণ বা স্বাদৃশ্য গ্রহণ করবেসে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে

মূলত: হিন্দুরা গনেশ পুজার সময় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আবার বড় কোনো কাজ যেমন মন্দির নির্মান বা বিগ্রহ স্থাপনের সময় দেবতার অনুগ্রহ লাভের আশায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে নববর্ষ পালনের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যেভাবে বিভিন্ন জান্তবের মুখোশ পরে আনন্দ উৎসব ও লাফালাফি করা হয়এটা বাংলার সংস্কৃতি নয় এসবকে বলা হচ্ছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি! এই যদি হয় বাঙ্গালী সংস্কৃতি, তাহলে বাঙ্গালী মানেই কি হিন্দু! ঈমান ও ধর্ম নিয়ে যদি বাঁচতে হলে এ সব শিরকি অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতেই হবে এসব নিকৃষ্টতম হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সঠিক চিন্তা ও কাজের তাউফীক দান করুন









No comments:

Post a Comment