Friday, June 27, 2014

আজান ও জবাব দানের ফজিলত


আজান ও জবাব দানের ফজিলত

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'য়ালার জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম রসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যিনি রহমাতুল্লিল আলামীন, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং সালেহীন (র)-গণের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। আমরা আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রসূল।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ শয়তান যখন নামাযের আযান শুনতে পায় তখন বাত কর্ম করতে করতে পলায়ন করে যেন আযানের শব্দ তার কানে পৌঁছতে না পারে। মুযাজ্জিন যখন আযান শেষ করে তখন সে ফিরে এসে (নামাযীদের মনে) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। সে পুনরায় যখন ইকামত শুনতে পায়- আবার পলায়ন করে যেন এর শব্দ তার কানে না যেতে পারে। যখন ইকামত শেষ হয় তখন সে ফিরে এসে (নামাযীদের মনে) সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। - [সহিহ মুসলিম : হাদিস নং ৭৫৩]

আযানের সময় আযানের জবাব দেওয়াঃ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মুয়াজ্জিন যখন আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার বলে তখন তোমাদের কেউ আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার বলল। তারপর মুয়াজ্জিন যখন আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লালাহু বলে, তখন সেও আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লালাহু বলল। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ বলে, তখন সেও আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ বলল। পরে মুয়াজ্জিন যখন হাইয়্যা আলাস সালাহ বলে, তখন সে লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলল। এরপর মুয়াজ্জিন যখন হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলে, তখন সেও লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলল। তারপর মুয়াজ্জিন যখন আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার বলে, তখন সেও আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার বলল, তারপর মুয়াজ্জিন যখন লা ইলাহা ইল্লালাহু বলে, তখন সেও লা ইলাহা ইল্লালাহু বলল। -এসবই যদি সে বিশুদ্ধ অন্তরে বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -(মুসলিমঃ ২/৭৪৯)

আজান শুনে দোয়া পাঠ করাঃ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি আযান শুনে বলে- আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-জিহিদ্দাওয়াতিত্তা-ম্মা-তি ওয়াসসলা-তিলক্ব-য়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিলওয়াসি-লাতা ওয়ালফাদিলাতা ওয়াবআসহু মাক্বামাম্মাহমু-দানিল্লাজী- ওয়াআত্তাহু’ [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই প্রভু! তুমি মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অসীলা বা বিশেষ মর্যাদা দান কর এবং তাকে তোমার ওয়াদাকৃত প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও]- তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে যাবে। -(তিরমিযী : হাসান ও সহীহ, বুখারী, আবুদাউদ, নাসাই ও ইবনে মাজাহ)

একই বিষয়ে : হযরত সায়াদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আযান শুনে বলবে- আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা-হু ওয়াহদাহু- লা- শারী-কালাহু- ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু-ওয়া রসূ-লুহূ, রদিতু বিল্লা-হি রব্বাওঁ ওয়াবিমুহাম্মাদিররসূ-লাওঁ ওয়াবিলইসলামি দ্বী-না-


[অর্থাৎ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তার কোন শরীক নাই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বান্দা ও রসুল। আমি আল্লাহকে প্রভু হিসাবে, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রসূল হিসাবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি]- তার পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। -(তিরমিযী : হাসান ও সহীহ)

No comments:

Post a Comment