কুরআন শরীফের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
সমস্ত প্রশংসা
আল্লাহ তা'য়ালার জন্য- যিনি রব্বুল আ'লামীন। দুরদ ও সালাম
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যিনি রহমাতুল্লিল আ'লামীন, তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর বংশধর,
তাঁর সাহাবায়ে কিরাম (রাদিআল্লাহু আনহুম) ও সালিহীন (র) বান্দাগণের
প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি
যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তার রসুল। অতঃপর আল্লাহর সন্তোষ ও মহব্বত অর্জনের লক্ষ্যে সহজে
আমলযোগ্য পবিত্র কুআনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ
ছোট ছোট দোয়ার আমলের সবক পেশ করা হল-
১) ক্ষমা প্রার্থনার দোয়াঃ ক্ষমা
প্রার্থনার জন্য হযরত আদম (আলাইহিসসালাম) আল্লাহর দরবারে যে দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ
তা’য়ালা কুরআনের মাধ্যমে আমাদেরকে তা শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন-
رَبَّنَا
ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ
مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
-হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের উপর জুলুম
করেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন আর আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন তাহলে আমরা
অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। -(সূরা আ’রাফঃ ২৩)
ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আল্লাহ তা’য়ালার
শিখানো অন্যান্য দোয়াঃ
رَبِّ
اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
- হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও রহম করুন। রহমকারীদের
মধ্যে আপনিই শ্রেষ্ঠ রহমকারী। - (সূরা মু’মিনুনঃ আয়াত ১১৮)
رَبَّنَا
آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
-
হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান এনেছি। আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন। আপনি
হলেন সবচেয়ে বড় দয়ালু। - (সূরা মু’মিনূনঃ আয়াত ১০৯)
২) জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর বান্দাগণের দোয়াঃ
رَبَّنَا
اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا ০ إِنَّهَا
سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَّمُقَامًا
-
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে দূরে রাখুন। নিশ্চয়
জাহান্নামের শাস্তি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। নিশ্চয় স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসস্থান
হিসাবে জাহান্নাম অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান। -(সূরা ফুরকানঃ আয়াত ৬৫- ৬৬)
رَبَّنَا
إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
-
হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি। আপনি আমাদের পাপ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে
জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করুন। - (সূরাআলে ইমরানঃ আয়াত ১৬)
৩) ঈমানের নুরে পরিপূর্ণতা লাভের আশায় ঈমানদার বান্দাগণের প্রার্থনাঃ
رَبَّنَا
أَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
-হে
আমাদের রব! আমাদের জ্যোতিতে পরিপূর্ণতা দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়
আপনি সকল কিছুর উপর শক্তিমান। -(সূরা কাহাফঃ আয়াত ৮)
৪) পিতা-মাতা,
বংশধর ও মু’মিনীনদের জন্য হযরত ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম)
এর দোয়াঃ
رَبِّ
اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ ০ رَبَّنَا
اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ ০
-হে
আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরকেও সালাত কায়েমকারী
করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন। হে আমাদের রব! আমাকে, আমার
মাতা-পিতাকে এবং সব মু’মিনদেরকে
ক্ষমা করুন, যেদিন
হিসাব কায়েম হবে। -(সূরা ইব্রাহীমঃ আয়াত ৪০-৪১)
৫) মুসিবত আপতিত হলে পাঠ করার দোয়াঃ
মুমিনগণের উপর কোন মুসিবত আপতিত হলে আল্লাহ তা’য়ালা পাঠ করার জন্য যে দোয়া শিক্ষা
দিয়েছেন-
اَلَّذِيْنَ
إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُّصِيْبَةٌ قَالُوا ] إِنَّا لِلّهِ
وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ[
- যখন তাদের উপর কোন মুসিবত আপতিত হয় তখন তারা বলে :
(নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য আর আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে) - সূরা বাকারাহঃ
আয়াত ১৫৬।
৬) দ্বীনের উপর অবিচল থাকার দোয়াঃ ইসলাম
বিরোধী শক্তির মোকাবেলায় ধৈর্য্যসহ দ্বীনের উপর অবিচল থাকা এবং আল্লাহর সাহায্য
লাভের দোয়া-
رَبَّنَا
أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ
الْكَافِرِيْنَ
-হে
আমাদের রব! আমাদেরকে ধৈর্য্য দান করুন, আমাদেরকে দৃঢ় পদে রাখুন ও কাফির সম্প্রদায়ের
বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। - (সূরা বাকারাহঃ আয়াত ২৫০)
৭) অশ্লীলতার সয়লাব থেকে নিজেকে ও নিজ
পরিবার পরিজনদেরকে হিফাজতের দোয়াঃ হযরত লুত আলাইহিসসালাম এর দোয়া-
رَبِّ
نَجِّنِيْ وَأَهْلِيْ مِمَّا يَعْمَلُوْنَ
-হে
আমার রব! আপনি আমাকে ও আমার পরিবারকে তাদের ঘৃনিত কর্ম থেকে রক্ষা করুন। - ( সূরা
শুআরাঃ আয়াত ১৬৯)
৮) কোন শহরে হিজরত বা প্রবেশের দোয়াঃ
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের সময় আল্লাহর শিক্ষা মোতাবেক যে
দোয়া করেছিলেন-
رَبِّ
أَدْخِلْنِيْ مُدْخَلَ صِدْقٍ وَّأَخْرِجْنِيْ مُخْرَجَ صِدْقٍ وَّاجْعَلْ لِّيْ مِنْ
لَّدُنْكَ سُلْطَانًا نَّصِيْرًا
- হে আমার রব! আমাকে সত্য রূপে দাখিল করুন , সত্য রূপে বের
করুন এবং আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাহায্য করুন। - (সূরা ইসরাঃ আয়াত ৮০)
৯) নেককার ও সাহীদগনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য বিশ্বাসী বান্দাগণের দোয়াঃ
رَبَّنَا
آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُوْلَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِيْنَ
- হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যা নাযিল করেছেন আমরা
তাতে ঈমান এনেছি এবং আমরা রসূলের অনুসরণ করেছি। কাজেই আমাদেরকে আপনি সাহীদগণের
অন্তর্ভুক্ত করে নিন। - (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ৫৩)
رَبَّنَا
فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
-হে
আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন, আমাদের নিকট থেকে অমঙ্গল অপসারণ করুন
এবং আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের সঙ্গী করে দুনিয়ার জীবনের অবসান করুন। -(সূরা আলে ইমরানঃ
আয়াত ১৯৩)
১০) বংশধরদের জন্য দোয়াঃ
বংশধরদের জন্য হযরত ইব্রাহীম আলাইহিসসালাম ও হযরত ইসমাইল আলাইহিসসালাম এর দোয়া-
رَبَّنَا
وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ
-
হে আমাদের রব! আমাদের উভয়কে আপনার আজ্ঞাবহ করুন এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি
অনুগত উম্মাহ সৃষ্টি করুন। -(সূরা বাকারাহঃ আয়াত ১২৮)
১১) মাতা পিতার জন্য সন্তানের দোয়াঃ
মাতা-পিতার কল্যাণের জন্য সন্তানদেরকে আল্লাহ তা’য়ালা যে দোয়া করতে বলেছেন-
رَبِّ
ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِيْ صَغِيْرًا
- হে আমাদের রব! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন, যেমন তারা
শিশুকালে আমাদের লালন পালন করেছেন। - (সূরা ইসরাঃ আয়াত ২৪)
১২) নেক আমল কবুল হওয়ার দোয়াঃ কাবা
ঘর পুনঃ নির্মানের পর নেক আমল কবুল হওয়ার জন্য হযরত ইব্রাহীম আলাইহিসসালাম এর দোয়া-
رَبَّنَا تَقَبَّلْ
مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
- হে আমাদের রব! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন।
নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী। - (সূরা বাকারাহঃ আয়াত ১২৭)
১৩) দ্বীনি দায়িত্ব পালনের জন্য দোয়াঃ দা’য়ী ইলাল্লাহ-এর
দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা অর্জনের জন্য হযরত মুসা আলাইহিসসালাম এর দোয়া-
رَبِّ اشْرَحْ
لِيْ صَدْرِيْ- وَيَسِّرْ لِيْ أَمْرِيْ - وَاحْلُلْ
عُقْدَةً مِّنْ لِّسَانِيْ - يَفْقَهُوا قَوْلِيْ
- হে আমার রব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন, আমার জিহ্বার জড়তা দুর করে দিন, যাতে তারা সহজে
আমার কথা বুঝতে পারে। - (সুরা ত্ব-হাঃ আয়াত ২৫-২৮)
১৪) জালিম শাসকদের জুলুম থেকে মুক্তির জন্য হযরত মুসা (আলাইহিসসালাম) এর দোয়াঃ
عَلَى
اللّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ ০ وَنَجِّنَا
بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ ০
- আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। হে আমাদের রব!
আমাদেরকে যালিমদের নির্যাতনের শিকার বানাবেন না। আমাদেরকে আপনার রহমতে কাফিরদের
কবল থেকে রক্ষা করুন। - (সূরা ইউনুসঃ আয়াত ৮৫ ও ৮৬)
১৫) আল্লাহর পথে বিপদ-মুসিবত আপতিত হলে পূর্ববর্তী ঈমানদারগণ যে দোয়া করতেনঃ
رَبَّنَا
اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا
عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
-
হে আমাদের প্রতিপালক! বিভিন্ন কাজে আমাদের পাপ ও সীমালংঘনকে ক্ষমা করুন, আমাদেরকে
(আপনার পথে) সুদৃঢ় রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। -
(সূরা আলে-ইমরানঃ আয়াত ১৪৭)
১৬) জাতীয় আদর্শ অনুসরণের জন্য চাপের প্রেক্ষিতে শুয়াইব (আলাইহিসসালাম) এর
দোয়াঃ
رَبَّنَا
افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِيْنَ
-
হে আমাদের রব! আমাদের জাতি ও আমাদের মধ্যে ন্যায্যভাবে ফায়সালা করে দিন। আর
আপনিই তো সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। - (সূরা আরাফঃ আয়াত ৮৯)
১৭) জালিমদের জুলুম ও নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য মাজলুম ঈমানদার বান্দাগণের
দোয়াঃ
رَبَّنَا
أَخْرِجْنَا مِنْ هذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ
وَلِيًّا وَّاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ نَصِيْرًا
-
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিমদের এ জনপদ থেকে মুক্ত করুন। আপনার পক্ষ
থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক করে দিন, আপনার নিকট থেকে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী করে দিন। -
(সূরা নিসাঃ আয়াত ৭৫)
১৮) কওমের জুলুম থেকে মুক্তির জন্য ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) ও তাঁর অনুসারীদের
দোয়াঃ
رَبَّنَا
عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ০ رَبَّنَا
لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ
أَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ০
অর্থাৎ - হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার উপরই
নির্ভর করেছি, আপনার
প্রতি অগ্রসর হয়েছি এবং ফিরে আসব আপনার কাছেই। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে
কাফিরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে
ক্ষমা করুন। আপনি তো মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়। - (সূরা মুমতাহানাঃ আয়াত ৪- ৫)
১৯) ইসলামের উপর অবিচল থাকায় নির্যাতনে মৃত্যুর মুহুর্তে ঈমানদার বান্দাগণের
দোয়াঃ
رَبَّنَا
أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّتَوَفَّنَا مُسْلِمِيْنَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্যধারণ করার
ক্ষমতা দিন এবং মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন। - (সূরা আ’রাফঃ আয়াত ১২৬)
২০) দ্বীনের উপর অবিচল থাকার জন্য গুহায় আশ্রয় নেয়া গুহাবাসীগণের দোয়াঃ
رَبَّنَا
آتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
- হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজের নিকট থেকে
আমাদেরকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের এ কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার
ব্যবস্থা করুন। -(সূরা কাহাফঃ আয়াত ১০০)
২১) হিদায়াতের উপর অবিচল থাকার দোয়াঃ
দ্বীনের পথে হিদায়াতের উপর অবিচল থাকার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা যে দোয়া
শিখিয়েছেন-
رَبَّنَا
لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً
إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
- হে আমাদের রব! হিদায়াত প্রদান করার পর আপনি আমাদের
অন্তঃকরণকে বক্র করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন, নিশ্চয়ই আপনি
সবকিছুর দাতা। -
(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ৮)
২২) শক্তি-সামর্থ্যরে (বালেগ) বয়সে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে দোয়ার পরামর্শঃ
رَبِّ
أَوْزِعْنِيْ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلى وَالِدَيَّ
وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِيْ فِيْ ذُرِّيَّتِيْ إِنِّيْ تُبْتُ
إِلَيْكَ وَإِنِّيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ
-হে
আমার রব! আমাকে শক্তি দিন,
যেন আমি আপনার নিয়ামাতের শোকর করতে পারি, যা আপনি আমাকে ও আমার মা-বাবাকে দান করেছেন এবং আমি
যেন নেক আমল করতে পারি যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন, আমার বংশধরদেরকেও সৎকর্মশীল করুন। নিশ্চয়ই আমি আপনার
নিকট তওবা করলাম এবং নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট আত্মসমর্পনকারীদের অন্তর্ভুক্ত। - (সূরা
আহকাফঃ আয়াত ১৫)
২৩) আল্লাহকে অভিভাবক হিসাবে লাভের জন্য হযরত ইউসুফ (আলাইহিসসালাম) এর দোয়াঃ
فَاطِرَ
السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّيْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ تَوَفَّنِيْ
مُسْلِمًا وَّأَلْحِقْنِيْ بِالصَّالِحِيْنَ
- হে আকাশসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা! আপনিই দুনিয়া ও
আখিরাতে আমার অভিভাবক। আপনি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান করুন এবং আমাকে
সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন। - (সূরা ইউসুফঃ আয়াত ১০১)
২৪) পূর্ববর্তী মু’মিনদের জন্য পরবর্তী ঈমানদার বান্দাগণের দোয়াঃ
رَبَّنَا
اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ وَلَا تَجْعَلْ
فِيْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِيْنَ آمَنُوْا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ
-হে
আমাদের রব! আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রগামী ভাইদেরকে ক্ষমা করুন আর মুমিনদের জন্য
আমাদের হৃদয়ে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত দয়াশীল, পরম করুণাময়। -
(সূরা হাশরঃ আয়াত ১০)
২৫) নেককার সন্তান-সন্ততি লাভের দোয়াঃ নেককার
সন্তান-সন্ততি, বংশধর
লাভের জন্য হযরত জাকারিয়া আলাইহিসসালাম এর দোয়া- (সূরা ফুরকানঃ ৭৪)
رَبَّنَا
هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ
إِمَامًا
অর্থাৎ- হে আমাদের রব! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে ও সন্তানদের পক্ষ থেকে
চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের ইমাম করুন।
২৬) দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের দোয়াঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশী বেশী যে দোয়া করতেন :
رَبَّنَا
آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
-হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ
ও পরকালের কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচান। - (সূরা বাকারাহঃ
আয়াত ২০১)
পবিত্র কুরআন ও হাদীস গ্রন্থসমূহে আরও অনেক
বরকতপূর্ণ ও কল্যাণময় দোয়া রয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে সেগুলো জানার এবং আমল
করার মাধ্যমে তাঁর সন্তোষ ও মহব্বত অর্জনের তৌফিক দান করুন! আ-মী-ন।
৩) ঈমানের নুরে পরিপূর্ণতা লাভের আশায় ঈমানদার বান্দাগণের প্রার্থনাঃ
ReplyDeleteرَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
বাংলা উচ্চারনঃ- রাব্বানা আতমিম লানা নুওরানা ওয়াগফিরলানা ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন
-হে আমাদের রব! আমাদের জ্যোতিতে পরিপূর্ণতা দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সকল কিছুর উপর শক্তিমান। -(সূরা কাহাফঃ আয়াত ৮)
রেফারেন্স টি চেক করুন। আমার মনে
৩) ঈমানের নুরে পরিপূর্ণতা লাভের আশায় ঈমানদার বান্দাগণের প্রার্থনাঃ
ReplyDeleteرَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
বাংলা উচ্চারনঃ- রাব্বানা আতমিম লানা নুওরানা ওয়াগফিরলানা ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন
-হে আমাদের রব! আমাদের জ্যোতিতে পরিপূর্ণতা দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সকল কিছুর উপর শক্তিমান। -(সূরা কাহাফঃ আয়াত ৮)
রেফারেন্স টি চেক করুন। আমার মনে