আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত হতে হবে কুফরমুক্ত
ডাঃ গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি,তার পরিবারবর্গ,বংশধর,সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) ও সালেহীণ (রহমাতুল্লাহি
আলাইহিম)-গণের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ছাড়া কোন
ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি
কেবলমাত্র রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খুলাফায়ে রাশিদীনে এবং
সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-গণের অনুসৃত কল্যাণময় আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই নিহিত।
মহান
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর ইবাদাত ও পরকালীন সৌভাগ্যের মূল ভিত্তি হল বিশুদ্ধ ঈমান।
আল্লাহ তা’য়ালার
কোন বান্দা যখন অটল বিশ্বাসের সংগে ঘোষণা করেনঃ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ
অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর রসূল- তখন তিনি আল্লাহ তা'য়ালার ইবাদাতের বুনিয়াদী
স্তরে অর্থাৎ মুমিনীনের স্তরে দাখিল হবেন। মু’মিনীনের স্তরে বহাল থাকতে
হলে উক্ত ঘোষণার পরিপন্থী কোন আকিদা ও আমলের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না। তাহলে
তিনি আল্লাহর তা’য়ালার উপর
মৌলিক ঈমান ও তাঁর গোলামী থেকে খারিজ হয়ে যাবেন।
আল্লাহ
তা’য়ালার
কোন বান্দা যখন ঘোষণা করেন- আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তখন আল্লাহর সমস্ত হুকুম
মেনে নেয়া তার জন্য বাধ্যতামুলক হয়ে যায়। আর যখন ঘোষণা করেন- মুহাম্মাদ (স)
আল্লাহর বান্দা ও রসূল, তখন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ
মেনে নেয়াও বাধ্যতামুলক হয়ে যায়। আল্লাহকে ইলাহ এবং মুহাম্মাদ (স)-কে রসূল হিসাবে
মেনে নেয়ার পর আল্লাহর কোন হুকুম পালন করতে বা রসূলের কোন আদর্শ মেনে চলতে কোন ওজর
বশতঃ অপারগ হলে তিনি গুণাহগার হবেন কিন্তু ঈমান থেকে খারিজ হবেন না বা আল্লাহর
গোলামী থেকে খারিজ হবেন না। আল্লাহ তা’য়ালা ইচ্ছা করলে মেহেরবানী করতঃ বান্দার ওজর কবুল করে ক্ষমা
করে দিতে পারেন বা ইনসাফ করতঃ গোণাহের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দিতে পারেন।
কিন্তু
আল্লাহর কোন একটি বিধান বা রসূলের কোন একটি নীতি ও আদর্শ মেনে নিতে অস্বীকার বা
ইনকার করলে কিম্বা তার তুলনায় অন্য কোন বিধি-বিধান, আইন, নীতি ও আদর্শকে উত্তম মনে
করলে তিনি আল্লাহ তা’য়ালার
উপর বিশ্বাস ও তাঁর গোলামী সম্পূর্ণ থেকে খারিজ হয়ে কাফির হয়ে যাবেন, অথচ অনেকেই
তা উপলব্ধি করার চেষ্টাও করেন না। এ ব্যপারে যথেষ্ট সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বনের
জন্য কুরআন ও হাদীসের কতিপয় বানী পেশ করা হল।
কুরআনের কিছু বিধান মান্য করা আর কিছু বিধান অমান্য করাঃ এ প্রসংগে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : "তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও
অন্য অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব
তোমাদের মধ্যের যারা এরকম করে তাদের ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কী পুরস্কার আছে?
আর কিয়ামতের দিনে তাদের ফেরত পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর
তোমরা যা করছো আল্লাহ সে-বিষয়ে অজ্ঞাত নন।" -(সূরা বাকারাহঃ আয়াত-৮৫)
তিনি আরও
বলেনঃ "কেমন করে আল্লাহ এমন
জাতিকে হেদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবং রসূলকে সত্য বলে
সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট প্রমাণ এসে যাওয়ার পর কাফের হয়েছে। আর আল্লাহ
জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।"
-(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ৮৬)
আল্লাহর দ্বীনের কোন বিধানের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন: "আল্লাহর দ্বীন মেনে
নেয়ার পর যারা সে সম্পর্কে বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়, তাদের বিতর্ক তাদের পালনকর্তার কাছে
বাতিল, তাদের প্রতি আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব।" -(সূরা আশ-শু’রাঃ আয়াত ১৬)
দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড করাঃ আল্লাহ তা’য়ালা
বলেন : "নিশ্চয়ই যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছ, তাদের সাথে
আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা’আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে
দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।" -(সূরা আনআমঃ আয়াত ১৫৯)
আল্লাহর নিদর্শনাবলীর প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রুপ করাঃ মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন: "আমি
রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী স্বরূপই প্রেরণ করি আর কাফেররাই মিথ্যা
অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে এবং তারা আমার
নিদর্শনাবলীও যে সব বিষয় দ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টা
স্বরূপ গ্রহণ করেছে।" -(সূরা কাহফঃ আয়াত ৫৬)
আল্লাহর রসূলগণের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রুপ করাঃ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন: "নিশ্চয়ই আপনার পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণের সাথেও উপহাস করা হয়েছে। অতঃপর যারা তাঁদের সাথে উপহাস করেছিল, তাদেরকে ঐ শাস্তি বেষ্টন করে নিল, যা নিয়ে তারা উপহাস করত।" -(সূরা আন'আমঃ আয়াত ১০)
তিনি আরও
বলেনঃ "আর যদি তুমি তাদের জিজ্ঞেস করো, তাদের বিদ্রুপ পূর্ণ আচরণের বিষয়ে তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলেছিলাম এবং কৌতুক করেছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে। ছলনা করনা, তোমরা কাফের হয়ে গেছ, ঈমান প্রকাশ
করার পর।" -(সূরা তাওবাঃ আয়াত ৬৫-৬৬)
রসূলের বিরোধিতা এবং মুসলমানদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলাঃ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন : "যে
কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের
অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং
তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।"
-(সূরা নিসাঃ আয়াত ১১৫)
খাঁটি মুমিনগণের প্রতি উপহাস করাঃ আল্লাহ তা’য়ালা
বলেন: "পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে
উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে।
পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত
উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন।" -(সূরা বাকারাহঃ আয়াত ২১২)
অবান্তর কথাবার্তার প্রসার ঘটানোঃ আল্লাহ তা’য়ালা
বলেন : "মানুষের মধ্যে এক শ্রেণীর লোক আছে
যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ
করে অন্ধভাবে এবং আল্লাহর পথ নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।"- (সুরা লুকমানঃ আয়াত ৬)
শয়তানের মত মানুষকে কাফের হতে উদ্বুদ্ধ করাঃ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন: "তারা
শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলে, তোমার
সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করি।" -(সূরা হাশরঃ আয়াত ১৬)
শয়তানের মত মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার ঘটানোঃ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : "যারা
পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক তাদের জন্য পৃথিবীতে ও
আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ্ জানেন, তোমরা জান না।" -(সূরা আন-নূরঃ আয়াত ১৯)
শয়তানের মত আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখাঃ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : "নিশ্চয়ই
যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ
ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ) বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে
না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে।"
-(সূরা মুহাম্মাদঃ আয়াত ৩২)
কাফিরদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণঃ আল্লাহ
তা'য়ালা বলেন : "মুমিনগণ
যেন মুমিনগণকে বাদ দিয়ে কোন কাফিরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে। যে মুমিনকে বাদ
দিয়ে কাফিরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে
তোমরা যদি তাদের নিকট থেকে কোনরূপ ক্ষতির আশংকা কর, তার কথা স্বতন্ত্র। আল্লাহ
তাঁরই সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করছেন। আর আল্লাহর নিকটই ফিরে যেতে হবে।"
-(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ২৮)
ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণঃ আল্লাহ তা’য়ালা
বলেন : "হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদী ও
খৃষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা এক অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে
যারাই তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই
আল্লাহ (এসব) জালিম সম্প্রদায়কে সুপথে পরিচালিত করেন না।"
- (সূরা মায়িদাঃ আয়াত ৫১)
আল্লাহ ব্যতীত অন্যদেরকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণঃ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : "যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ আদমকে সেজদা কর, তখন সবাই সেজদা করল ইবলীস
ব্যতীত। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতএব তোমরা কি
আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছ? অথচ
তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালেমরা যে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ
করেছে তা কত নিকৃষ্ট!"
-(সূরা কাহাফঃ আয়াত ৫০]
হযরত আবু
হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
: "কোন ব্যক্তি তার বন্ধুর দ্বীনের অনুসারী
হয়ে থাকে। কাজেই খেয়াল রাখা উচিত সে কেমন বন্ধু নির্বাচন করছে।"
-(আবু দাউদ ও তিরমিযী)
কোন মুসলমানকে কাফের বলাঃ হযরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : "যে
ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে বা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ সে তা নয়, তখন তার কথা
নিজের দিকে ফিরবে।" - (বুখারী ও মুসলিম)
কাফিরদের পরকালীন পরিনামঃ মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন বলেন : "আর কাফিরদেরকে দলে
দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের
কাছে এসে পৌঁছবে তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে
বলবে, তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে কি রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের কাছে
তোমাদের রবের আয়াতগুলো তিলাওয়াত করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্পর্কে তোমাদেরকে
সতর্ক করত? তারা বলবে, অবশ্যই এসেছিল; কিন্তু কাফিরদের উপর
আযাবের বাণী সত্যে পরিণত হল। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে
প্রবেশ কর চিরকাল তোমরা সেখানে অবস্থান করবে। অহংকারীদের বাসস্থান কতই না মন্দ।"
-[সূরা যুমারঃ আয়াত ৭১-৭২]
তিনি আরও
বলেনঃ "যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং (জেনে-শুনে) সত্য চাপা দিয়ে রেখেছে,
আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না এবং সরল পথ দেখাবেন না। তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা বাস
করবে অনন্তকাল।" -( সূরা নিসাঃ আয়াত
১৬৮-১৬৯)
তিনি আরও
বলেনঃ "নিশ্চয়ই যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ
থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ)
বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন
তাদের কর্মসমূহকে।" -(সূরা মুহাম্মাদঃ
আয়াত ৩২)
আল্লাহ
তা’য়ালা
মানব জাতিকে এ মহাসত্য অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন! আমাদেরকে ইখলাসের সাথে জীবনের
সর্বক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত বা গোলামী করার তৌফিক দান করুন! সকল প্রকার
কুফরী থেকে রক্ষা করুন! এবং তার মাহবুব বান্দাগণের অন্তর্ভূক্ত করুন! আ-মী-ন।
No comments:
Post a Comment