Thursday, April 2, 2015

আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদাতঃ পর্ব-৯


আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত হতে হবে নিফাকমুক্ত
ডাঃ গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি,তার পরিবারবর্গ,বংশধর,সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) ও সালেহীণ (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)-গণের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি কেবলমাত্র রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খুলাফায়ে রাশিদীনে এবং সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-গণের অনুসৃত কল্যাণময় আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই নিহিত।

আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত হতে হবে সকল প্রকার নিফাক বা কপটতা মুক্ত। ঈমানের ঘোষণা দেয়ার পরও অন্তরের মাঝে কোন প্রকার নিফাক বা কপটতার অনুপ্রবেশ ঘটলে তাঁর ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। মানব সমাজে সে মুসলিম হিসাবে পরিচিত হলেও আল্লাহ তায়ালার কাছে সে মুনাফিক হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ তায়ালার মহান দরবারে তার কপট বিশ্বাস এবং প্রদর্শনী আমল কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাফির ও মুনফিকের পার্থক্যঃ কাফির হল ঐ সব ব্যক্তি যারা আল্লাহ, আল্লাহর রসূল, আল্লাহ কুরআন, রসূলের সুন্নাত, দ্বীনের বিধান ও খাঁটি ঈমানদারদের সাথে প্রকাশ্যভাবে দুষমনী করে আর মুনাফিক হল ঐ সব ব্যক্তি যারা প্রকাশ্যভাবে কোন দুষমনী করে না, কিন্তু অন্তরে দুষমনী পোষণ করে এবং গোপনে ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। কার্যকলাপ ও লক্ষণ দেখে এদেরকে চিনতে হয় এবং সতর্ক থাকতে হয়। শয়তানের ধোঁকায় যাতে মুমীনগণ নিফাকী ষড়যন্ত্র বা খাসলাতে আক্রান্ত না হয় সে ব্যপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন ও সবার বিবেচনার জন্য কুরআন ও হাদীসের কিছু বানী পেশ করা হল।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ "আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি । মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত ! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছিআমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রবরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেনআর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।" - (সূরা আল বাক্বারাহঃ আয়াত ১১-১৫)

তিনি আরও বলেনঃ "আর যদি তুমি তাদের জিজ্ঞেস করো, তাদের বিদ্রুপ পূর্ণ আচরণের বিষয়ে তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলেছিলাম এবং কৌতুক করেছিলামআপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুমের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলেছলনা করনা, তোমরা কাফের হয়ে গেছ, ঈমান প্রকাশ করার পর"
-(সূরা তাওবাঃ আয়াত ৬৫-৬৬)

তিনি আরও বলেনঃ "হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ঘনিষ্ঠতম বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর না। কেননা অন্যরা তোমাদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না এবং যা তোমাদেরকে কষ্ট দেয় তারা তাই কামনা করে। তাদের মুখ থেকে কখনো কখনো বিদ্বেষ প্রকাশ পায়, কিন্তু তাদের মনে যা গোপন রয়েছে তা আরো ভয়ঙ্কর। আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করছি, যেন তোমরা বুঝতে পার। (মুমিনগণ!) তোমরা এমন যে, তোমরাই তাদেরকে ভালবাসো, কিন্তু তারা তোমাদেরকে ভালবাসে না। আর তোমরা কিতাবের প্রতিটি বিষয়ে ঈমান রাখ। তারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে, তখন তারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন তারা একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে নিজেদের আঙুলের মাথা কামড়াতে থাকে। বলুন (হে রাসূল!), তোমরা মরো তোমাদের আক্রোশেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে সবকিছুই জানেন। যদি তোমাদের ভাল কোন কিছু হয় তাহলে তা তাদেরকে কষ্ট দেয় আর তোমাদের যদি খারাপ কিছু হয় তাহলে তারা তাতে আনন্দিত হয়। যদি তোমরা ধৈর্যশীল ও মুত্তাকী হও, তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কোন ক্ষতিই করতে পারবে না। তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।" 
-(সূরা আলে-ইমরানঃ আয়াত ১১৮-১২০)

তিনি আরও বলেনঃ "এরা এমনি মুনাফেক যারা তোমাদের কল্যাণ-অকল্যাণের প্রতীক্ষায় ওঁৎপেতে থাকে। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের যদি কোন বিজয় অর্জিত হয়, তবে তারা বলে, আমরাও কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? পক্ষান্তরে কাফেরদের যদি আংশিক বিজয় হয়, তবে বলে, আমরা কি তোমাদেরকে ঘিরে রাখিনি এবং মুসলমানদের কবল থেকে রক্ষা করিনি? সুতরাং আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেয়ামতের দিন মীমাংসা করবেন এবং কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না" -( সূরা নিসাঃ আয়াত ১৪১)

আল্লাহর পথে অর্থ-ব্যয় ও সালাতের প্রতি অবহেলাঃ মহান আল্লাহ বলেন : "আপনি বলুন! তোমরা আল্লাহর পথে স্বেচ্ছায় ব্যয় কর অথবা অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে ব্যয় কর, তোমাদের দান কখনোই কবূল করা হবে না। নিশ্চয়ই তোমরা হলে পাপাচারী জাতি। মুনাফিকদের অর্থ সাহায্য গ্রহণ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করে, অবহেলার সাথে সালাতে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে অর্থ সাহায্য করে। কাজেই তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন আপনাকে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ না করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়েই তাদেরকে পৃথিবীতে শাস্তি দিতে চান এবং কাফির অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হবে।"-(সূরা তওবাঃ আয়াত ৫৩-৫৫)

মুনাফিকের বন্ধুত্ব হল কাফিরের সাথেঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন : "হে মুমিনগণ! তোমরা মুমিনদের বাদ দিয়ে কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর না। তোমরা কি তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করতে চাও? নিশ্চয়ই জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে হবে মুনাফিকদের অবস্থান, আর আপনি তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাবেন না। তবে যারা তওবা করে, আত্মশুদ্ধি করে, আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এবং আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে দ্বীনে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে, তারা মুমিনদের সাথেই থাকবে। আর আল্লাহ মুমিনদেরকে শীঘ্রই মহাপুরস্কার প্রদান করবেন।" -(সূরা নিসাঃ আয়াত ১৪৪-১৪৬)

মুনাফিকের সম্পর্ক হল ইহুদি, খৃষ্টান ও মুশরিকদের সাথেঃ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : "যাদের কলবের মধ্যে ব্যাধি রয়েছে, আপনি দেখবেন, তারা অতি দ্রুত ইহুদি, খৃষ্টান ও মুশরিকদের সাথে মিলিত হবেতারা বলবে : আমরা আমাদের উপর যে কোন রকমের বিপদ আপতিত হওয়ার আশংকা করিঅচিরেই আল্লাহ বিজয় দান করবেন কিংবা তাঁর নিজের পক্ষ থেকে এমন কিছু দেবেন যাতে তারা অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছিল সে জন্য লজ্জিত হবেমুমীনগণ বলবে- এরা কি সেই সব লোক, যারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করে বলত যে আমরা তোমাদের সাথে আছি! তাদের কর্মফল বিফল হয়ে গেছে, ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ।" - (সূরা মায়িদাঃ আয়াত ৫২- ৫৩)

মুনাফিকের সম্পর্ক হল তাগুতের সাথেঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন : "আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যেঃ যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ করা হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে তাগুতের দিকে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাগুতকে অস্বীকার করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়। আর যখন আপনি তাদেরকে বলবেন, আল্লাহর নির্দেশের দিকে এসো-যা তিনি রসূলের প্রতি নাযিল করেছেন, তখন আপনি তাদেরকে দেখবেন, ওরা আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরে যাচ্ছে।" -(সুরা আন-নিসাঃ আয়াত ৬০-৬১)

মুনাফিকগণ শয়তানের দলভূক্তঃ আল্লাহ বলেন: "আপনি কি তাদেরকে লক্ষ্য করেননি, যারা এমন লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করে যাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা ক্রোধান্বিত? তারা আপনাদের দলভুক্ত নয়, তারা তাদেরও দলভুক্ত নয়। তারা জেনে শুনে মিথ্যা শপথ করে। আল্লাহ তাদের জন্য ভয়ানক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। তারা যা করে নিশ্চিতভাবে তা কতই না মন্দকাজ! তারা তাদের শপথগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এবং এর দ্বারা তারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিরত রাখে। কাজেই তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাপ্রদ শাস্তিআল্লাহর শাস্তির মোকাবেলায় তাদের অর্থ-সম্পদ এবং তাদের সন্তান-সন্ততি কোনই কাজে আসবে না। তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে আবার জীবিত করবেন, সেদিন তারা আল্লাহর নিকটও তেমন শপথ করবে, যেমন শপথ তারা তোমাদের নিকট করেছেতারা ধারণা করে, এমন শপথে হয়ত কিছু কাজ হবে। সাবধান! তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। শয়তান তাদের উপর পুরোপুরি দখল বিস্তার করেছে, সে তাদেরকে আল্লাহর যিকর করা ভুলিয়ে দিয়েছে। তারাই শয়তানের দল। সাবধান! নিশ্চয় শয়তানের দল অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে নিশ্চয় তারা চরম লাঞ্ছিতদের দলভুক্ত হবে।" 
-(সুরা মুজাদালাঃ আয়াত ১৪-২০)

মুনাফিকদের দ্বীনি কাজ থেকেও মুমীনদের সতর্ক থাকতে হবেঃ "যারা মাসজিদ তৈরি করেছে দ্বীন ইসলামের ক্ষতি করার জন্য, কুফরি করার জন্য, মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি যুদ্ধ করেছে তার ষড়যন্ত্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে আর তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমরা ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই এ মসজিদ নির্মাণ করেছি আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী(সুতরাং হে রাসূল!) আপনি সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে তাদের নির্মিত ঐ মসজিদে কখনই দাঁড়াবেন না, বরং প্রথম থেকেই যে মসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত সে মসজিদই আপনার সালাত আদায়ের জন্য অধিকতর যোগ্য। সে মসজিদে এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন।" - (সূরা তওবাঃ আয়াত ১০৭-১০৮)

তিনি আরও বলেনঃ "আর তাদের মধ্য থেকে কেহ মারা গেলে আপনি তার উপর কখনো (জানাজার) সলাত পড়বেন না এবং কবরের কাছেও দাঁড়াবেন না। কারণ তারা আল্লাহ ও তার রসুলের সাথে কুফুরী করেছে এবং কুফুরী অবস্থাতেই তারা মৃত্যুবরণ করেছে।" -(সূরা তওবাঃ আয়াত ৮৪)

হাশরের ময়দানে মুসলিম নামধারী মুনাফিকদের পরিনামঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন : "সেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে, তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি ছুটোছুটি করবে। বলা হবে, আজ তোমাদের জন্যে সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য। সেদিন কপট বিশ্বাসী পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারীরা মুমিনদেরকে বলবে, তোমরা আমাদের জন্যে অপেক্ষা করো, আমরাও কিছু আলো নিবো তোমাদের জ্যোতি থেকে। বলা হবে, তোমরা পিছনে ফিরে যাও ও আলোর খোঁজ করো। অতঃপর উভয় দলের মাঝখানে খাড়া করা হবে একটি প্রাচীর, যার একটি দরজা হবেতার অভ্যন্তরে থাকবে রহমত এবং বাইরে থাকবে আযাব" -[সূরা হাদীদঃ আয়াত ১২-১৩]

সুতরাং খাঁটি ঈমান ও ইবাদাত হতে হবে সকল প্রকার নিফাক বা কপটতা মুক্ত। আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের সমগ্র মানব জাতিকে এ মহাসত্য অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন! আমাদেরকে ইখলাসের সাথে জীবনের সর্বক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত বা গোলামী করার তৌফিক দান করুন! সকল প্রকার নিফাক বা কপটতা থেকে রক্ষা করুন! এবং তার মাহবুব বান্দাগণের অন্তর্ভূক্ত করুন! আ-মী-ন।


No comments:

Post a Comment